তিন দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হলো যিশুখ্রিস্টের সমাধিস্থল দ্য চার্চ অব দ্য হোলি সেপালচার। ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হস্তক্ষেপের পর বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চার্চটি খুলে দিতে রাজি হন সেখানকার নেতারা। ইসরায়েল সরকারের নতুন যে নীতিটি চার্চের নেতাদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল তা স্থগিত করার আশ্বাসের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিলে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ওই চার্চের সম্পত্তি বেসরকারি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। চার্চের সম্পত্তির ওপর ইসরায়েলি সরকারের কর আরোপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর বিতর্কিত এ বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চার্চ নেতারা। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যচার্চটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা। বিলটির প্রসঙ্গ টেনে নেতারা বলেন, ‘এই বৈষম্যমূলক ও বর্ণবাদী বিলের মাধ্যমে চার্চ ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবমাননা চরমে পৌঁছেছে। বিলটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সম্পত্তিকে টার্গেট করা হয়েছে।’
সংকট সমাধানের জন্য এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এবং মেয়র নির বারকাত এ ইস্যুটি সমাধানে একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। আর এর ভিত্তিতে জেরুজালেম মিউনিসিপ্যালিটি মঙ্গলবার ঘোষণা দেয় চার্চ প্রপার্টি থেকে কর সংগ্রহের প্রচেষ্টা স্থগিত করছে তারা।
দ্য চার্চ অব দ্য হোলি সেপালচার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর অন্যতম। চার্চটিকে যিশুখ্রিস্টের ক্রুশারোহণ ও সমাধিস্থল হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এটা খ্রিস্টানদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থানও। পবিত্র সমাধির গির্জা (দ্য চার্চ অব দ্য হলি সেপালচার) ১ হাজার ৭০০ বছর আগে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্ঞী হেলেনা নির্মাণ করেন। ৩২৬ ও ৩২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই স্থানটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।