ইউরোপে বিদ্যমান খ্রিস্টান আধিপত্য ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। অভিবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে খ্রিস্টান দেশগুলোর জনসংখ্যার বিদ্যমান কাঠামো রক্ষার জন্য অঞ্চলটির জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার রাজধানী বুদাপেস্টে দেওয়া স্টেট অব দ্য ভাষণে এমন আহ্বান জানান এই উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিক। অভিবাসীদের সন্ত্রাসবাদের ভাইরাস হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
পশ্চিমা দুনিয়ার অনেক দেশে জনসংখ্যা কমছে। ফলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে দেশগুলো। বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে হাঙ্গেরির জনগণকে অধিক পরিমাণে সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানান ভিক্টর অরবান। অধিক সন্তান গ্রহণকে উৎসাহিত করতে সাতটি প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যে করছাড় ও ভতুর্কির মতো প্যাকেজও রয়েছে।
অন্তত চারটি সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের আজীবনের জন্য আয়কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি পাবেন। এছাড়া সন্তানদের নিয়ে ব্যবহারের উদ্দেশে সাত আসনবিশিষ্ট গাড়ি কিনতে সরকার তাদের আট হাজার ৮২৫ ডলার ভর্তুকি দেবে।
৪০ বছরের কম বয়সী যেসব নারী প্রথমবারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তাদের স্বল্প সুদে ৩৫ হাজার ৩০০ ডলার ঋণ দেওয়া হবে।
গত কয়েক বছর ধরেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’-এর কথা বলে আসছেন হাঙ্গেরির এই উগ্রপন্থী রাজনীতিক। আগামী মে মাসে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। এ নির্বাচনকে ইউরোপের জন্য ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভিক্টর অরবান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতির কট্টর সমালোচক অরবান। ২০১৮ সালে অভিবাসীদের সহায়তাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করার উদ্যোগ নেয় তার অভিবাসীবিদ্বেষী সরকার। এতে অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে সাহায্যকারীকেও অপরাধীর কাঠগড়ায় তোলা হয়। সূত্র: আল জাজিরা।