সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ডিএমপি’র সিটিটিসি বিভাগ। উগ্রবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো মহল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ কাজ করেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “গতকাল (সোমবার) যে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়েছে তা সাধারণ ককটেল থেকে একটু ভিন্নতর। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও সিটিটিসি’র বিশেষজ্ঞ অফিসারেরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে বিস্ফোরণের ধরণ, ইনজুরির ধরণ ও প্রয়োজনীয় এভিডেন্স সংগ্রহ করেছে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা দেখছি। ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘সারা বিশ্বে বৈশ্বিক যে উগ্রবাদের প্রভাব আছে, বাংলাদেশ তার বাইরে না। তবে সংঘবদ্ধ বড় ধরনের কোন নাশকতা করার সক্ষমতা আমাদের দেশে তাদের নেই। এটি ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানের পরে আমরা রীতিমত তাদের নেটওয়ার্ককে বিধ্বস্ত করেছি। কখনো কখনো তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা করার অপচেষ্টা করে, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, এ দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য, যেকোনো ধরণের নৈরাজ্য বন্ধের জন্যে, উগ্রবাদ দমানোর জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুসমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা তৎপর আছি।”
উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে দু’জন ট্রাফিক পুলিশ ও এক কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।