তিন ম্যাচ পরে ফের জয়ের সরণীতে বেঙ্গালুরু। গুজরাটকে তাঁদেরই ঘরের মাঠে ২১ রানে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করল কোহালির আরসিবি। এই জয়ের পরে ৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ৬ নম্বরে উঠে এল বেঙ্গালুরু।
হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বিরাট কোহালির দলের। শেষ ম্যাচে হারের পর রীতিমতো দলের সতীর্থদের উদ্দেশে হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিরাট। তারই ফল হয়তো হাতে নাতে পেলেন গুজরাটের বিরুদ্ধে ম্যাচে। বেশ কয়েকদিন ধরে লো-স্কোরিং ম্যাচই দেখছিল আইপিএল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রান করল বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো কাজেই আসল না ম্যাককালাম-এর ৪৪ বলে ঝোড়ো ৭২ রানের ইনিংস।
টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ফিল্ডিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাট অধিনায়ক সুরেশ রায়না। অনেক সমালোচনার পর এদিন আবার ক্রিস গেইলকে দলে ফিরিয়েছিল বেঙ্গালুরু টিম ম্যানেজমেন্ট। বিরাট কোহালির সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৩৮ বলে ৭৭ রান করলেন গেইল। তাঁর এই বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও সাতটি বাউন্ডারিতে। আর গেইলকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল সাতটি বাউল্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। দুই ওপেনার প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর তাঁদেরই দেখানো পথ ধরে বেঙ্গালুরুর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেন ত্রাভিস হেড ও কেদার যাদব। দু’জনে মিলে যোগ করলেন আরও ৬৮ রান। ত্রাভিসের ব্যাট থেকে এল ৩০ রান ও যাদবের ৩৮। দু’জনেই বল খেললেন ১৬টি করে। নির্ধারিত ওভারে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হল ২১৩/২এ। গুজরাতের হয়ে দুটো উইকেট নিলেন ধবল কূলকার্নী ও বাসি থাম্পি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি গুজরাটের। ডোয়েন স্মিথ এক ও অধিনায়ক রায়না ২৩ রানে আউট হয়ে যান। এরপর আরও ২-৩ টে উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ম্যাককালাম ও ইশান কিশান(৩৯) লড়াই করার চেষ্টা করলেও তা ওই রানে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট ছিলনা। গুজরাটেরর প্রথম দুটো উইকেটই নেন বেঙ্গালুরুর স্পিনার য়ুজবেন্দ্র চাহাল।