গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময় বলে টুইটারে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে সিরিয়া। দেশটি গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে যেকোনো উপায়ে গোলান পুনরুদ্ধারেরও অঙ্গীকার করেছে।
গোলানে ইসরায়েলি দখলদারিকে মার্কিনের স্বীকৃতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তুরস্ক। এ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট উসকে দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা। ইরান ট্রাম্পের টুইটকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গোলানের বেশির ভাগ অংশই তেল আবিবের দখলে চলে যায়। চার বছর পর সিরিয়া সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ইসরায়েলের দখলে থাকলেও গোলানে তাদের সার্বভৌমত্ব কখনোই আন্তর্জাতিক সমর্থন পায়নি। মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে দূরত্ব বজায় রেখেছিল। গত বছর তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে আনা ট্রাম্প প্রশাসনই শেষ পর্যন্ত গোলানে ইসরায়েলি দখলদারির আন্তর্জাতিক খরা ঘোচানোর ইঙ্গিত দেয়। তিনি কয়েক দশকের নীতি বদলে গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে উপত্যকাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্পের এ অবস্থানের নিন্দা জানায় দামেস্ক। এ অবস্থানের ভেতর দিয়ে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘অন্ধ পক্ষপাতিত্ব’ প্রকাশ পেয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।