বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যম মানুষের সমাজ জীবনের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিদিন দেশের জনসাধারণকে তথ্যের জোগানদাতা হিসেবে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি যেকোন প্রতিষ্ঠানের তথ্য দেশের নাগরিকগণদের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ দারুণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠাকালীন হতে নগরবাসীর মাঝে ডিএমপির নানা কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে জনসাধারণের কাছে ডিএমপি’র ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠনের পাশাপাশি পুলিশ-মিডিয়া সম্পর্কেও সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এই বিভাগ।
১৯৭৬ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যাত্রা শুরুর সাথে সাথে ডিবি-পিআর হিসেবে জনসংযোগ অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট হিসেবে ডিএমপিতে ২০১২ সালে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার ও বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের কর্ণধার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর সময়োপযোগী পরিকল্পনায় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এ বিভাগকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়না বলা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার)-এর সুদক্ষ নেতৃত্বে ৩১ হাজারেরও অধিক জনবল নিয়ে পরিচালিত পুলিশের এই সর্ববৃহৎ ইউনিট রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিকদের পুলিশি সেবা প্রদানে ২৪/৭ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিএমপির কার্যক্রমে এই বিভাগ গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা ও জনসংযোগের কাজটি দক্ষতার সাথে পালন করে। মোট ৫৪ জন জনবল নিয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে একজন উপ-পুলিশ কমিশনার এর নেতৃত্বে বর্তমানে এ বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে।
গণমাধ্যম হিসেবে আজকাল বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম অনলাইন নিউজ পোর্টাল। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার নির্ভর এ মাধ্যমটি তাৎক্ষণিক পাঠকের কাছে অতি দ্রুত তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে। ১ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে ‘ডিএমপি নিউজ’ www.dmpnews.org নামে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু হয়। তথ্যসেবা প্রদানে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এই নিউজ পোর্টাল। এর গড় পাঠক প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ। ২০২১, ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫২ কোটিরও অধিকবার অনলাইনে এই পত্রিকাটি পঠিত হয়। এই অনলাইন নিউজ পোর্টালে রয়েছে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, লাইফস্টাইলসহ নানান ধরনের সব বিভাগ। রয়েছে পুলিশ ও অপরাধ বিষয়ক কর্নার। পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলী, নগরীর কোন রাস্তায় গাড়ি বন্ধ থাকবে, কোভিড-১৯ বিস্তার প্রতিরোধে মহানগরবাসীর করণীয় কী এ সংক্রান্ত সকল তথ্য। এই পোর্টালে রয়েছে স্পেশাল নিউজ কর্নার, একলা পথ চলতে কী করা উচিত, ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে করণীয় কী, বাসায় গৃহকর্মী রাখার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত, মানি এস্কর্ট সুবিধা কীভাবে নেয়া যায়, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা প্রতিরোধে করণীয় প্রভৃতি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই কর্নার সজ্জিত। এর রয়েছে লস্ট এন্ড ফাউন্ড কর্নার যেখানে কেউ হারিয়ে গেলে বা কাউকে পাওয়া গেলে তাদের ছবি সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেখান থেকে তার আত্মীয়-স্বজন খুব সহজেই তাকে খুঁজে পেতে পারে। ২০২১ সালে সারা বাংলাদেশ থেকে অনুরোধের ভিত্তিতে ডিএমপি নিউজে ৮৯ টি নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রত্যেক নিখোঁজ সংবাদের আপডেট মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে পরবর্তীতে অবহিত করা না হলেও অনেকেই তাদের স্বজন ফিরে পেয়ে ফোন দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এখানে রয়েছে অশনাক্ত মৃতদেহের জন্য আলাদা একটি জায়গা।
‘তথ্যই শক্তি’ একথা অস্বীকার করার জো নেই, তথ্যের সঠিক ব্যবহার নাগরিক জীবনের অনেক বড় সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে।
২০১৭ সালের ১১ জুলাই। রাত সাড়ে আটটা। মানিকগঞ্জের কালিগঙ্গার মাঝনদীতে আট বছরের একটি বাচ্চা মেয়ের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে নৌকা নিয়ে ছুটে যান স্থানীয় জেলে মাবু বিশ্বাস। তিনি মেয়েটিকে তীরে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার ভয়াবহতায় ও আকস্মিকতায় মেয়েটি তার পরিচয় বলতে পারছিল না, খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না তার অভিভাবকদের। তখন থানার ওসি বিষয়টি মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারকে জানান। এরপর শরণাপন্ন সোস্যাল মিডিয়ার। এ সংক্রান্তে একটি খবর প্রকাশ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনলাইন নিউজ পোর্টাল dmpnews.org । তারপর সেটি শেয়ার করা হয় ডিএমপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/dmpdhaka/। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে যায় এক এক করে অজস্র ফেসবুক পাতায়। তারপর আর সময় লাগেনি। হাসি ফোঁটে মেয়েটির মুখে। বাবা-মা ফিরে পায় তার হারানো রত্ন।
সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা, রাজধানীর শেখেরটেক এলাকা হতে মানসিক ভারসাম্যহীন মোঃ টিপু সুলতান নামে একটি ছেলে হারিয়ে যায়। তার বাবা আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ খবরটি ডিএমপি নিউজের লস্ট এন্ড ফাউন্ড এ প্রকাশ করা হয়। এ হারানো সংবাদটি প্রকাশের দুদিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জে তার সন্ধান পাওয়া যায়। উদ্ধার করা হয় তাকে। তার ভাই ডিএমপি নিউজে ফোন করে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ রকম নানা ঘটনার খবর ডিএমপি নিউজ পোর্টালে প্রতিদিন ছাপা হয়। ভিকটিমদের উদ্ধারে তথ্য সহযোগিতা মাধ্যম হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে এই নিউজ পোর্টাল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম বললেও অত্যুক্তি হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালে প্রণয়ন করে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’। ডিএমপির অফিসিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/dmpdhaka/ টি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগ থেকে পরিচালিত হয়। এর বর্তমান (ফেব্রুয়ারি, ২০২১) ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। নাগরিক সেবা প্রদানে সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা, নাগরিক সেবা সহজিকরণ এবং নাগরিক সেবা প্রদানের নতুন মাধ্যম হিসেবে ঢাকা মহানগরীর নাগরিকগণের নিকট এই ফেসবুক পেজ এখন তুমুল জনপ্রিয়। সম্মানিত নাগরিকগণ তার সমস্যা ডিএমপি ফেসবুক পেজে নিঃসঙ্কোচে জানাতে পারেন। প্রতিদিন অগুণতি মেসেজের প্রতিউত্তর প্রদানের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় এই পেজ থেকে। সমস্যার সমাধান পেয়ে নাগরিকগণ হোন খুশি, এভাবে পুলিশ ও জনতার সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। ডিএমপির রয়েছে Dhaka Metropolitan Police – DMP নামীয় নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। এর বিভিন্ন ভিডিও থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম সম্পর্কে এক সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মনিটরিংয়ের জন্য রয়েছে এ বিভাগের প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্য। তারা সার্বক্ষণিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন পত্রিকা মনিটরিং করে থাকেন। সংরক্ষণ করেন অপরাধ, রাজনীতি, পুলিশ সম্পর্কিত ও ঘটনাবহুল সকল খবর। সংবাদপত্রের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়া মনিটরিংয়ের জন্য এখানে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক মিডিয়া মনিটরিং সিস্টেম। এখানে একই সাথে ৩টি বিদেশি চ্যানেলসহ ২৪টি টেলিভিশন স্টেশন মনিটর করা হচ্ছে। যেকোন নির্দিষ্ট দিনের ঘটনাভিত্তিক ফুটেজ এ ব্যবস্থা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্থিরচিত্র ও ফুটেজ সংগ্রহের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা । আজকের সংরক্ষিত তথ্য আগামীদিনের জ্ঞান- এই ধারণাকে মাথায় রেখে এগুলোকে যথাযথভাবে আর্কাইভিং করা হয় প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি এ মিডিয়া মনিটরিং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে পুলিশকে সাহায্য করে দারুণভাবে।
মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগের রয়েছে নিজস্ব এডিটিং প্যানেল। এ প্যানেল ক্ষেত্রবিশেষে অন্যদের সহায়তা নিয়ে অত্র বিভাগ হতে জনসচেতনতামূলক ১৪টি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হয়েছে। মাদক সেবনের কুফল, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী বিভিন্ন ধরণের ডকুমেন্টারি, ট্রাফিক সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি, ডিএমপি’র প্রতিষ্ঠা দিবস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ প্রভৃতি প্রামাণ্যচিত্র তৈরির মাধ্যমে পুলিশি সেবাকে আরও ত্বরান্বিত করাই এর মূল লক্ষ্য।
এছাড়াও জনসংযোগের অংশ হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তৈরি, বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে কমিশনার মহোদয়ের ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা কার্ড, নতুন বছরের ক্যালেন্ডার, ডায়রি প্রভৃতি তৈরি ও বিতরণের কাজটি করে থাকে এ বিভাগ। কমিশনার মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে গণমাধ্যমসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন ও যোগাযোগের দায়িত্বটি পালন করে থাকে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগ।
পেশাদারত্বের সূত্র ধরেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পর্ক একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করে গণমাধ্যমগুলো। সেই ১৯৭৬ সালে ডিএমপির পথচলার সাথে ডিবির তত্ত্বাবধানে একটি কুঁড়েঘরে যাত্রা শুরু করেছিলো ডিবি-পিআর শাখাটি। তখন সাংবাদিকদের জন্য সেখানে বসার কোন জায়গা ছিলনা। প্রেস ব্রিফিংও করা হতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। তারপর সেই প্রেস ব্রিফিং এর কপি গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হতো ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার অফিসগুলোতে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির প্রবহমান ধারায় সেই চিত্র এখন পাল্টেছে। সময়ের স্রোতধারায় আজ ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পিআর একটি তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। মিডিয়া সেন্টারে তাৎক্ষনিক ব্রিফিং প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক মিডিয়া ব্রিফিং রুম। একশত আসন বিশিষ্ট এ ব্রিফিং রুমে রয়েছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ওয়াইফাইসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। সার্বক্ষণিক সংবাদ সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য সাংবাদিকদের সুবিধার্থে ২টি কম্পিউটার সম্বলিত একটি কক্ষ রয়েছে। সেখান থেকে সবসময় তাদের অফিসে সংবাদ প্রেরণ করা সম্ভব। বিজনেস এসএমএস প্যানেল, ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা প্রদান করে নিমিষেই দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অর্জন, উদ্ধার জনিত সাফল্য ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ২০২১ সালে এ বিভাগ ১২২ টি মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। এতে করে গণমাধ্যমের আয়নায় মহানগরীর নাগরিকদের প্রতি ডিএমপি’র দায়িত্ব প্রকাশ পায়। মিডিয়া ব্রিফিংয়ের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক ঘটে যাওয়া যেকোনো আলোচিত ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের চাহিদা মোতাবেক জানান দিয়ে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক- স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক, তাই জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। এ নিমিত্তে রয়েছে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময়ই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মহানগরে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পুলিশের আইন কিংবা পুলিশের ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রভৃতি যেকোন প্রকার তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রদান করে প্রকারান্তরে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ।
লেখক
মোঃ ফারুক হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) ও মুখপাত্র, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।