ডিএমপি নিউজ: আমাদের অনেককে একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয়। তখনই শরীরে আসে ক্লান্তি। অনেকের আবার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কিংবা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। কাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল তাই আপনাকে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। করোনাকালে শারীরিক সমস্যা যতই হোক না কেন, পেশা বদল করা সম্ভব না। এসকল ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রা এবং হাঁটা-চলা ও বসার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
আসুন জেনে নিই এমন ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়-
১. অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলে আপনাকে মাঝে মধ্যে ২-৩ মিনিটের জন্য ‘ব্রেক’ নিয়ে একটু হেঁটে আসতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ২ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।
২. অনেকেই চেয়ারে ভুল ভঙ্গিমায় বসি বা দাঁড়াই। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা শোওয়ার সময় ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন।
৩. বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বের হওয়ার আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমন ভাবেই নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।
৪. ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এই অভ্যাস দীর্ঘ মেয়াদী হলেই বিপদ। চিকিৎসকদের মতে, তেমন কোনও চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর উপর নির্ভর না করাই ভাল। এর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কসরত করাই ভাল।
৫. শোওয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়।