ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর চকবাজারের বাইতুন নুর মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব মুনসুর আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় রহস্য উদঘাটনপূর্ব্ক নাতি-নাতনিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)’র চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ভিকটিমের নাতি মোঃ শাহাদাত মুবিন আলভী ও নাতনি আনিকা তাবাস্সুম, রাজু, রায়হান ও সাঈদ।
মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ।
আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর ২০২২ খ্রি.) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
তিনি বলেন, গত ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে চকবাজারের খাজে দেওয়ান লেনের ছয়তলা ভবনের ২য় তলার নিজ বাসায় এক বয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যাসহ দস্যুতার একটি মামলা হয়।
হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। মৃতদেহ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তখন ওই বাসার আশপাশসহ বেশ কয়েকস্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনান্তে হত্যাকান্ডে জড়িত ভিকটিমের ডাক্তারি পড়ুয়া নাতনি আনিকা ও ইন্টারমিডেয়েট পড়ুয়া নাতি আলভীকে শনাক্ত করে চকবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত তাদের বন্ধু রাজু, রায়হান ও সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।
হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভিকটিমের নাতি-নাতনি ও বন্ধুরা মিলে প্রায় এক মাসে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এজন্য তাদের টাকার প্রয়োজন ছিলো। টাকার জন্য তারা তাদের নানাকে টার্গেট করে। তারা একটি সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ি ঘটনার দিন বাসার সকলে একটি বিয়ে বাড়িতে গেলে তারা আগে থেকে বানিয়ে রাখা নকল চাবি দিয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে। এরপর তারা টাকা নিতে চাইলে ভিকটিম বাঁধাদেয়, তখন তারা সিরিঞ্জ দিয়ে অচেতন করার ঔষধ পুশ করে ও আঘাত করে। পরবর্তী সময়ে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় বলে মনে করেন পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।