ডিএমপি নিউজঃ সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ১২৮৮ কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ৭৫ হাজার শিশুকে একটি নীল রঙের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৮০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শনিবার সকালে কর্পোরেশন পারিচালিত নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম নগর মাতৃসদন হাসপাতালে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধন করেন। এ সময় যে সমস্ত শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে তাদেরকে মায়ের দুধের পাশপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ অধ্যাপক নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের মেয়র । অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়লোসিস, আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম নগর মাতৃসদন হাসপাতালে আধুনিক ল্যাবরেটরী সহ আলট্রাসনোগ্রাফী সংযোজন করার ঘোষনা দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত মাতৃসদন, জেনারেল হাসপাতাল, নগরস্বাস্থ্য কেন্দ্র, দাতব্য চিকিৎসালয়সহ সর্বত্র আধুনিক মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি নগরবাসী সকলকে চসিক পরিচালিত সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম নগরীতে ১২৮৮ টি স্থায়ী-অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে আজ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুরা ১ টি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুরা ১ টি করে লাল রঙের উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনীত কারণে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ৫ জুলাই সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানের কার্যক্রম চলে। স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্ট ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, টিকাদান কর্মী-স্বাস্থ্যকর্মীগণ এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন। প্রধান অতিথির ভাষনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রত্যেক সচেতন অভিভাবককে তাদের শিশুকে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নেয়া এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী সুনাম কুঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ১৩ কোটি টাকা ভতুর্কি দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরে বসবাসরত গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে সুলভে চিকিৎসাসেবা পায় সেজন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিচালিত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের রোগী রেজিষ্ট্রেশন ফি ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।