চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার কার্গো ও জাহাজ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে এ সকল পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোঃ খালেদ ইকবাল উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। এই বন্দর বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট বন্দরে রূপান্তরিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এর জন্য দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের উদ্যোগ সম্পন্নের পথে। বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে জেটি প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্নের লক্ষ্যে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আর দেশবাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আগামী জুন মাসেই এর সমীক্ষা রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তাছাড়া এর জন্য প্রয়োজনীয় ৯০০ একর জমির অধিকাংশের মূল্যসহ প্রস্তাব ইতিমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এরপরই বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২১ সালে ১ম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।