চাঁদপুর জেলায় আখের আবাদ বেড়ে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ‘চাঁদপুরে আখ (গেন্ডারি) নামে সুপরিচিত লম্বা আখের আবাদই বেশি হয়েছে এবং এর খুচরা ও পাইকারি বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। ইতোমধ্যেই গ্রাম–গঞ্জের বাজারে খুচরা–পাইকারি বিক্রি হচ্ছে চাঁদপুর আখ। আকারভেদে প্রতিটি আখ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৮ হেক্টর বেশি জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। ৫৭৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫৮৩ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যেই ২৫ শতাংশ আখ কাটা হয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৪ মাস চলবে বাকি আখ কাটা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদী রামপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন ও মদনের গাঁও গ্রামের কৃষক ইসমাইল জানান, আলু জমিতে থাকা অবস্থায় আখ লাগিয়েছেন তারা। এ বছর ভালো ফলন পেয়েছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর আখই বেশি। তবে তাদের অনেক জমিতে এখনো আখ কাটা শুরু হয়নি। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ–পরিচালক আলী আহম্মদ জানান, এ জেলায় চাঁদপুর গেন্ডারি’ ও ঈশ্বরদী–১৪ জাতের আখ দু’টির আবাদ হয়। চাঁদপুর গেন্ডারির আবাদ বেশি, ঈশ্বরদী–১৪ এর আবাদও বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
চলতি মাসের তথ্যানুসারে এখনো পুরোপুরি আখ কাটা শুরু হয়নি। জেলার মধ্যে আবার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বেশি আখের চাষ হয়। এ বছর এ উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছেন কৃষকরা। এরপর মতলব উত্তর উপজেলা এখানে প্রায় ১৭০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে, বাকিগুলো অন্যান্য উপজেলায় আবাদ হয়েছে। আলী আহম্মদ বলেন, ‘আখের ভালো ফলন হওয়ায় আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করছি। আমরা সব সময় কৃষকদেরকে সব ধরনের আবাদে পরামর্শ দিচ্ছি’।