শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ট্যানারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে । এ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে সাভার চামড়া শিল্পনগরী এলাকায় । শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোতে সনাতনী বা পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশিরভাগ কাজ হাতে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এখন শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে। এসব আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে উৎপাদন এবং সেগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষতা উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের এ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান মু. আনোয়ারুল আলমকে আহ্বায়ক করে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন কমিটি করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং চামড়া খাতের তিন সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। চামড়া খাতের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এজন্য সংগঠনের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রকল্পের প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করবে এ কমিটি। সম্প্রতি কমিটির একটি সভায় সংগঠনগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবিত ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতির তালিকা, জনবল কাঠামো, প্রশিক্ষণ কোর্সের ডিজাইনসহ সম্ভাব্য ব্যয় সংবলিত একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে এ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য উপযোগী খালি জায়গা আছে কি-না তা যাচাই করা হবে। এ ইনস্টিটিউট স্থাপনের অভিজ্ঞতা অর্জনে কমিটির সদস্যরা চলতি মাসে গাজীপুরের সিওইএল প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এরপর চলতি মাসের মধ্যে ডিপিপির রূপরেখা তৈরি করবেন।
চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, ট্যানারিতে কর্মরত শ্রমিকদের তেমন প্রশিক্ষণ নেই। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক পরিচালনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন বা ইনস্টিটিউট প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।