ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত মো হাফিজুর রহমান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গত ০৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ ২২.০৫ টায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন কোরিয়া কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ০৪টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আজ (৫ নভেম্বর) সকাল ১১.৩০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বিপিএম, পিপিএম।
ডিসি মশিউর বলেন, গ্রেফতারকৃত মো হাফিজুর রহমান তার সহযোগী মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ও জিল্লুর এর মাধ্যমে ভারত হতে বেনাপোল দিয়ে চোরাই পথে অবৈধ অস্ত্র-গুলি বাংলাদেশে আমদানী করে। অস্ত্র গুলি প্রথমে বিহার থেকে কলকাতার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় যে কোন গোপন স্থানে রাখে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী অস্ত্র ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মত ও দর কষাকষি চূড়ান্ত হলে তারা ভারতে কলকতার উত্তর চব্বিশ পরগনা আংরাইল নামক সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাংলাদেশের বেনাপোলে পুটখালী গ্রামের নদীর তীরে গোসল করার কৌশলে বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধ ভাবে নিয়ে আসে। তারপর সুযোগ বুঝে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উক্ত অস্ত্র সীমান্তের গোপন স্থান হতে বের করে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দেয়।
তিনি আরো বলেন, তাদের এই অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গী গোষ্ঠী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার হয়ে থাকে। হাবিবুর এর মাধ্যমে ভারতের উত্তরা চব্বিশ পরগনার বনগ্রাম গ্রামের জাহাঙ্গীর নামক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে জাহাঙ্গীর প্রত্যেকটি অস্ত্রের জন্য ৩০ হাজার করে টাকা নিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে জাহাঙ্গীর ভারত হতে উক্ত অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করে থাকে। সরবরাহকৃত অস্ত্র বাংলাদেশে এনে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট উচ্চ দামে বিক্রয় করে।
এ সংক্রান্তে মিরপুর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।