আবারও তীব্র ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া ৷ আবারও সেই লম্বোক ৷ বৃহস্পতিবার নতুন করে কম্পন অনুভূত হয় সেখানে ৷ কম্পনের মাত্রা ৬.১ ৷
মাত্র চারদিন আগেই ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ইন্দোনেশিয়া ৷ তার প্রভাব এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেদেশের বাসিন্দারা ৷ এরই মধ্যে ফের তীব্র কম্পন সেখানে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়৷ রবিবারের তীব্র কম্পনের পর এখনও অবধি তিনশ’র অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ ১৪০০ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ মাটিতে মিশে গিয়েছে ঘর,বাড়ি, স্কুল, কলেজ, মসজিদ৷ আশ্রয়হীন হাজার হাজার মানুষ৷ চারিদিক থেকে কেবল মানুষের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে ৷ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা ৷
রবিবারের পরও পরপর দু’দিন প্রায় ৩৫৫ বার আফটারশক হয়েছে ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবারের কম্পনকে কোনও ভাবেই আফটার শক বলতে নারাজ ভূবিজ্ঞানীরা ৷ নতুন করে কম্পন হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার লম্বোকে৷ বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাইক উল্টে গিয়েছে ৷ কয়েকটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে৷ ফলে আবারও নতুন করে প্রাণহানির শঙ্কা করা হচ্ছে৷
উদ্ধারকার্যের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমরা দুর্গতদের সাহায্য করে ফেরার পথে রাস্তায় ট্রাফিকের জন্য আটকে পড়ি৷ কিছুক্ষণ পর মনে হল আমাদের গাড়িকে কেউ পিছন থেকে জোরে ধাক্কা মারছে৷ এতটাই তীব্র ছিল সেই কম্পন৷’’ কম্পনের জেরে নতুন করে প্যানিক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে৷ কেউ বাড়ির মধ্যে থেকে, কেউ গাড়ি থেকে দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন৷
এদিকে কম্পনের জন্য বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ বিলির কাজ৷ কম্পনের জেরে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্গতদের কাছে সময়মতো পৌঁছতে পাচ্ছে না ত্রাণ সামগ্রী৷ লম্বোকে বাসিন্দারা ডোনেশন ও খাবার চেয়ে কাডবোর্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছে৷ প্রশাসনের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে৷ কিছু জায়গা থেকে উদ্ধারকাজ ধীর গতিতে হচ্ছে বলে খবর আসছে৷ এক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যাকে দায়ী করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার৷