দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে চালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সব সড়ক-মহাসড়কে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর পর একটি করে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য সরকার জায়গা দেবে।
নতুন এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি জায়গায় পরিবহন মালিক ফেডারেশন নিজ খরচে এ ধরনের বিশ্রামাগার তৈরি করবে।
শুক্রবার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ইকুরিয়া কার্যালয়ে ‘পেশাদার গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির’ উদ্বোধন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত গাড়ি চালনার জন্য চালকদের বিশ্রামের উপর গুরুত্ব দেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “তাদের বিশ্রামের জায়গা করে দিতে হবে। মালিক ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছি- বিশ্রামের স্থান, আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারে এ রকমের জায়গা দিতে প্রস্তুত আছি।”
সড়ক দুর্ঘটনা সরকারের একটি বড় ‘দুর্ভাবনা’র বিষয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মালিকদের কাছে আবারও বলব, চালকদের কর্মঘণ্টা ঠিক করে দিন। অতিরিক্ত পরিশ্রম করাবেন না, তাকে মানুষের মত বাঁচতে দিন।
“পরিবহন মালিকদের কাছে অনুরোধ, শ্রমিকদের ওভারটাইম খাটিয়ে মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেবেন না।”
চালকদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় গাড়ি চালানোকে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি বলেন, “একজন চালক ঢাকা থেকে কক্সবাজার যায়। আবার সেই গাড়ি সেই চালকই নিয়ে আসে। ”
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন’ জনস্বার্থ রক্ষা করে তবেই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান কাদের।
“এ আইন মাত্র নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এটা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। ভেটিংয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার মন্ত্রিসভায় যাবে।
“নেতৃবৃন্দকে বলেছি- আইন মন্ত্রীর সাথে কথা বলব। এরপর মন্ত্রিসভায় যাবে এবং বিস্তারিত আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে আমরা সাজেশন নিচ্ছি ও নেব।”
আইনটি চূড়ান্তভাবে পাসের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ‘স্টেকহোলডারদের’ ডাকা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
অন্যদের মধ্যে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।