চীনে একটি নতুন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডিতে বেশ ভালো রকম সাড়া পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘দ্য ল্যানসেট ইম্ফেকশিয়াস ডিজিজ’ জার্নালে এই নিয়ে একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়।
চীনে ২৯ এপ্রিল থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ভলেন্টিয়ারদের ওপরে এই ট্রায়াল চালানো হয়। ভ্যাকসিনের গবেষণায় ‘বেজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল প্রোডাক্ট’ সহ বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা অংশ নিয়েছিলেন। রয়টার্সের রিপোর্ট মোতাবেক, ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ৪২ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে অ্যান্টিবডিগুলির ভালো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
‘দ্য ল্যানসেট ইম্ফেকশিয়াস ডিজিজ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে গবেষকদের দাবি, এই ভ্যাকসিনটি একদিকে যেমন কার্যকর, তেমনই এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। ১৮ থেকে ৮০ বছরের ৬০০ এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক এই ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
যদিও এই ভ্যাকসিনটি কোভিড-১৯ থেকে রোগীকে বাঁচাতে যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষম, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গবেষকদের মতে, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া এই তথ্যগুলি পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে খুব কার্যকর প্রমাণিত হবে। সেই পর্যায়ে পাশ করলে তবেই আসবে সাফল্য।
তবে শুধু এই একটি না। চীন আরও চারটি ভ্যাকসিন বানাচ্ছে, যা কিনা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। WHO (ওয়ার্ল্ড হেলথ ওর্গানাইজেশন) এর তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বে ৪০ টিরও বেশি ভ্যাকসিনের উপর ট্রায়াল চলছে। ভ্যাকসিনের আশায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে মানুষ।