ভারত, চীন ও ভুটান- এ তিন দেশের জংশন হিসেবে বিবেচিত ডোকলাম মালভূমির ভেতর দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে চীন ও ভারতের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক চলছে। এ ভূখণ্ড নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় চীনের ৯৩টি পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করার পর চীনও বিধিনিষেধ আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে দুই দেশ এখন বাণিজ্য যুদ্ধের মুখোমুখি অবস্থায়। খবর ইকোনমিক্স টাইমসের।
চীনের ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দলের প্রকাশনা ‘দ্য গ্গ্নোবাল টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে চীনের সব বিনিয়োগকারীকে ভারতে বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকির বিষয়টি চিন্তা করার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিলি্লকে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন ইচ্ছা করলেই ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। প্রতিবেদনটিতে চীনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তথ্য পর্যালোচনা করে বলা হয়, চীনে ভারতের বার্ষিক রফতানি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে, যা অঙ্কে এক হাজার ১৭৫ কোটি ডলার। অন্যদিকে ভারতে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের পরিমাণ ২ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ভারত ও চীনের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে তাহলে চীনের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। চীনের একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে বলা হয়, ভারত যদি চীনের পণ্য বয়কট করে তাহলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে বয়কট অথবা আমদানি বন্ধ করলে এর প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে এবং ভারতীয়রা চাকরি হারাবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডোকলাম সংকট ভারত ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে।