ডিএমপি নিউজ: ঘন, ঝলমলে ও ঝরঝরে চুল পেতে কার না ভাল লাগে। আর এই ঘন, ঝলমলে ও ঝরঝরে চুলে পেতে হলে নিতে হবে চুলের যত্ন। আর সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে চাইলে সর্বপ্রথমে জানা প্রয়োজন চুল পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি। সেই সঙ্গে চুলের ধরন অনুযায়ী যত্ন নেওয়া।
চুল পরিষ্কার করতে আমরা শ্যাম্পু ব্যবহার করি। চুল ভালো রাখতে গোসলের এক ঘণ্টা আগে নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। এরপর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে সব চুল পাঁচ মিনিট আঁচড়ে নিন। এটি ময়লা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে। তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেল মাসাজ করা ভালো।
আসুন জেনে নেই কোন ধরনের চুল সপ্তাহে কতবার পরিষ্কার করা উচিত-
স্ট্রেট চুল: যাদের চুল স্ট্রেট তারা সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুতে পারেন। এই ধরনের চুলে খুব বেশি কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না। চুল শ্যাম্পু করার পরে সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
কোঁকড়ানো চুল: কোঁকড়ানো চুল একটু শুষ্ক হয়। তাই বারবার কোঁকড়ানো চুল ধুলে চুলের ক্ষতি হয়। কোঁকড়ানো চুল সপ্তাহে দু’বার পরিষ্কার করা উচিত। কোঁকড়ানো চুলে কন্ডিশনার একটু বেশি প্রয়োজন হয়। সিরামও প্রয়োজন হয়। চুল ধুয়ে নেওয়ার পরে চুলে কন্ডিশনার লাগান।
ওয়েভি চুল: অনেকের চুল ঠিক কোঁকড়ানোও নয়, আবার সোজাও নয়, কিছুটা ওয়েভি বা ঢেউ খেলানো ধরনের। যাদের চুল ওয়েভি, তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুল পরিষ্কার করা উচিত। এই ধরনের চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত যাতে চুল খুব বেশি শুষ্ক বা খুব বেশি তৈলাক্ত না হয়। এছাড়া, শ্যাম্পুর আগে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুতে পারেন। এতে মাথার তালু খুব বেশি তৈলাক্ত হবে না। চুলে কন্ডিশনারের পুষ্টিও মিলবে।
ফ্রিজি হেয়ার: যাদের চুল ফ্রিজি ধরনের তাদের সপ্তাহে অন্তত দু’বার চুল পরিষ্কার উচিত। যদি চুল খুব নোংরা হয় তবে তিনবার চুল ধুতে পারেন। ফ্রিজি হেয়ার খুব বেশি ধোওয়া উচিত নয়,কারণ এতে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, পাশাপাশি চুল ক্ষতিগ্রস্তও হয়। এই ধরনের চুলের ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।