ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ছিনতাইকারী কর্তৃক চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো। গ্রেফতারকৃতের নাম লিপটন (৩১)।
২৮মে’ ২০১৮ সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুঁড়ি এলাকা হতে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন’ ২০১৫ তারিখ রাত অনুমান ১০.৪৫ টায় কদমতলী থানাধীন মিনাবাগ থেকে ভিকটিম মামুন (২০) প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। মুরাদপুর বাগিচা আদর্শ সড়ক গলির মুখে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী কতিপয় ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনকে ছুঁড়িকাঘাত করলে সে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। অতঃপর মামুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৯জুন’২০১৫ সকাল ০৭.৫৫ টায় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি কদমতলী থানা পুলিশ তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত ৫ জন-সেকান্দার ওরফে সেকেন (২৬), ইস্কান্দার রানা ওরফে স্কেন (২৮), সোহেল রানা ওরফে কেনী (২৫), মোঃ শিফাত (১৮), মোঃ নিশাত (২২) দের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামী সোহেল রানা ওরফে কেনী, শিফাত ও নিশাত নিজেদের ঘটনায় জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারার মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। শিফাত ও নিশাত তাদের জবানবন্দিতে জানায় পলাতক লিপটন উক্ত হত্যাকান্ডের মুলহোতা।
ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত মূল আসামী পলাতক লিপটনকে গ্রেফতার করতে ঢাকা মেট্রো মামলাটির পুনঃতদন্তভার গ্রহণ করে এবং ঘটনার ৩ বছর পর আত্মগোপনে থাকা লিপটনকে গ্রেফতার করে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত লিপটন এলাকার ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার সময় লিপটন ও তার সহযোগীরা ভিকটিম মামুনের পথরোধ করে এবং টাকা ও মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ভিকটিম দিতে না চাইলে তারা তাকে ছুড়িকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।