ছিনতাইপ্রবণ স্পট এবং ছিনতাইকারীদের সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে নগরীতে অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। রমজানের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাই প্রতিরোধে বেশ কয়টি স্পট চিহ্নিত করে ছিনতাই প্রতিরোধে এই উদ্যোগ নিয়েছে সিএমপি ।
সূত্র জানায়, নগরীর মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত যেসব সড়কে গত ছয় মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের আশপাশের সড়ক, রেলস্টেশন এবং বস্তির আশপাশের সড়ককে ছিনতাইপ্রবণ স্পট হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মূল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রি নামানো হয় এবং অপেক্ষাকৃত নির্জন এলাকা সেগুলোকেও তালিকায় রাখা হয়েছে।
নগরীর আগ্রাবাদ মোড়, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, ছোটপুল, বড়পুল, হালিশহর, কাস্টমস সেতু, বন্দর ফটক,ইপিজেড, অলংকার, টাইগারপাস, সিআরবি, পুরাতন রেলস্টেশন, নতুন রেলস্টেশনের মুখ, নিউমার্কেট, কোতয়ালি, লালদীঘির পাড়, প্রবর্তক, কাতালগঞ্জ, শহীদ মিনারের সামনের সড়ক, বক্সিরহাট বিট, ষোলশহর, জিইসির মোড়সহ বেশ কিছু ছিনতাইপ্রবণ পয়েন্টের তালিকা আগেই পুলিশের কাছে আছে। এসব স্পটের বাইরে যেসব অলি-গলিতে ছিনতাইকারী, মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য আছে সেগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জনা গেছে।
সিএমপি সূত্রেও আরো জানা গেছে, পেশাদার ছিনতাইকারীদের মধ্যে কারা জামিনে আছে এবং সা¤প্রতিক সময়ে কারা পাড়া-মহল্লায় ছিনতাইসহ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তার তথ্য সংগ্রহের জন্য চার জোনের উপ-কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার বলেন, যেসব ছিনতাইপ্রবণ স্পট আছে সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহল থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে। এরপরও আমরা মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছি যেসব এলাকা একটু নির্জন, মানুষের চলাচল কম সেসব এলাকা যেন সন্ধ্যার পর থেকে সবাই যেন এড়িয়ে চলেন।