প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মেয়েদের শার্টের বোতাম বামদিকে এবং ছেলেদের শার্টের ডানদিকে। শার্টের বোতামের এই পৃথক পৃথক দিক কেন ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে তা নিয়ে রয়েছে বহু তথ্য, কোনওটি আবার বেশ মজারও৷ নিচে রইল তেমনই কিছু শোনা কথা…
১) যদি ইতিহাসের দিকে একটু ফিরে তাকানো যায় তাহলে অনেকেই শুনে থাকবেন যে নেপোলিয়নে নাম জড়িয়ে রয়েছে এই বোতামের দিক পরিবর্তনের সঙ্গে৷ বলা হয়ে থাকে, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের প্রায় সব ছবিতেই নাকি তাঁর ডান হাত কোটের ভিতরে ঢোকানো থাকত৷ মনে করা হয়, কোটের বোতাম বাম দিক থেকে ডানদিকে খুলতে হলে এই ধরনের একটি পোজ চলে আসে৷ আবার সেসময় মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত৷ আর এই দুই বিষয় নিয়ে সেসময় কৌতুকও কম হয়নি৷ এই কৌতুকের কথা নেপোলিয়নের কানে যেতেই তিনি নাকি মেয়েদের পোশাকে বোতাম বাম দিকে করে দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ আর তখন থেকেই নাকি এই রীতি চলে আসছে৷
২) অনেকের মতে মেয়েরা পুরুষের সামন সামন বোঝানোর জন্যই একই ধরনের শার্ট পরার প্রথা চালু হয়৷ কিন্তু তার মধ্যেও বৈচিত্র আনার জন্যই বোতামের দিক পৃথক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পাশাপাশি এই পৃথকীকরণে হত ছেলে–মেয়ের পোশাক বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হত দর্জিদেরও৷
৩) প্রাচীনকালে পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক দিয়ে যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয় তাই সেটি রাখা থাকত বামদিকে–কোমরে। আর তা বের করার সময় যাতে কোটের বোতামে আটকে না যায়, তার জন্যই নাকি বোতাম বসানো হতো ডানদিকে।
৪) অন্য একটি মত হল, মহিলারা তাদের সন্তানকে যেহেতু বামদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চার দুগ্ধপানের সময় বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে অসুবিধা হত৷ এই অসুবিধা দূর করতেই নাকি বোতামের দিক পরিবর্তন করা হয়৷
৫) আরও একটি তত্ত্বে বলা হয়, পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরেন, আবার অবস্থাপন্ন পরিবারের মেয়েদের বাড়ির দাসীরাই পোশাক পরিয়ে দিত। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখার প্রথাই চালু হয় বলে মনে করে অনেকে৷