জঙ্গিবাদের বিস্তার রুখতে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে এলে আইনি সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে যে সকল বিপথগামী জঙ্গি সদস্য জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে আসবে তাদের আইনি সহায়তা প্রদানসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা-১৫ আসনের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ দমনে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জঙ্গি সংগঠনের অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের বিস্তার না ঘটে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি যুগোপযোগী স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের ‘সাফল্য’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জঙ্গি সদস্য ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং তাদের মোটিভেশন ও সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
“পাশাপাশি বিভিন্ন সন্দেহভাজন নিখোঁজ ব্যক্তি এবং পলাতক জঙ্গিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।”
নিখোঁজ অনেকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, মসজিদের ইমাম, আলেম সমাজ, ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।