জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ৩৫৮ রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে ২-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। যদিও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় প্রথম ম্যাচ জয়।
গতকাল আগে ব্যাট করে ইমাম উল হকের ক্যারিয়ার সেরা ১৫১ রানের ইনিংসে ৩৫৮ রানের পাহাড়ে চড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু এত বড় সংগ্রহকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল স্বাগতিকরা। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে তারা যখন জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, তখনও বাকি ছিলো ৩১টি বল!
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সহজেই ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে রান তুলছিল দেখেই অনুমান করা গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কী অপেক্ষা করছে পাকিস্তানি বোলারদের জন্য। যা তারা টের পায় ইংলিশ ইনিংসের শুরু থেকেই।
দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয় শুরু করেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৭.৩ ওভারেই আসে ১৫৯ রান। জেসন রয় যখন ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন, তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯৫ বলে ২০০ রান।
সমীকরণ সহজ করে দিয়ে জেসন ফিরে গেলেও অপরপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৭৪ বলে। ইনিংসের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন ২৩৪ রানের মাথায়। তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য বাকি ১২৫ রান, হাতে বল রয়েছে ১২৮টি। আউট হওয়ার আগে ১৫ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৯৩ বলে ১২৮ রান করেন বেয়ারস্টো।
ম্যাচজয়ের বাকি কাজটা সারেন জো রুট ৩৭ বলে ৪৩, বেন স্টোকস ৩৮ বলে ৩৭, মইন আলি ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৬ এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ১২ বলে অপরাজিত ১৭ রান করে।
এর আগে ব্রিস্টলে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ক্রিস ওকস তুলে নেন ফাখর জামান (২) আর বাবর আজমকে (১৫)। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে হারিস সোহেলের সঙ্গে ৬৮ আর চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৬৭ রানের দুটি জুটি গড়েন ইমাম। হারিস ৪১ রানে রানআউট হন, সরফরাজ ফেরেন ২৭ করে।
এরপর আসিফ আলিকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক জুটি ইমামের। ৪৩ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে আসিফ সাজঘরের পথ ধরলে ভাঙে এই জুটি। তবে ইমাম ফিরেছেন দলকে তিনশো পার করে দিয়েই। ক্যারিয়ার সেরা এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৩১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১৫১ রান করে টম কুরানের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ইমাদ ওয়াসিমের ১২ বলে ২২, ফাহিম আশরাফের ১১ বলে ১৩ আর হাসান আলির ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে সাড়ে তিনশো পার করে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ক্রিস ওকস, ৬৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।