জন্ডিস হলো রোগের লক্ষণ। যেসব রোগে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেসব রোগে জন্ডিস দেখা দেয়। রক্তে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে চোখ, প্রস্রাব এবং গায়ের রং হলুদ হলে জন্ডিস রোগের উপস্থিতি প্রকাশ পায়।
অনেকসময় এই জন্ডিস এতটাই ভয়াবহ আকার ধারন করে যে, মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়েও টানাটানি লেগে যায়। তাই সুস্থ থাকতে প্রত্যেক মানুষেরই স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি।
হালকা জ্বর, দুর্বলতা, হলুদাভ ত্বক ও চোখ, অরুচি, বমি বমি ভাব থাকা বা বমি হওয়া, মাংসপেশী বা জয়েন্টে ব্যথা ও চুলকানি।
চিকিৎসা :
১. জন্ডিস নির্মূল এর জন্য ওষুধের প্রয়োজন না থাকলেও ডাক্তার আপনাকে জন্ডিসের অন্যান্য উপসর্গ যেমন বমি ভাব, চুলকানি ইত্যাদি কমানোর ওষুধ দিয়ে আপনার কষ্ট দূর করার জন্য।
২. কারো কারো ক্ষেত্রে (বৃদ্ধ বা শিশু) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল থাকতে পারে, যা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। ডাক্তার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
৩. জন্ডিস হলে অতিরিক্ত নয়, পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। দিনে তিন লিটার বা ১২ গ্লাস এর মত পানি খেতে চেষ্টা করুন।
৪. জন্ডিস হলে তেল কম খেতে বলা হয়, কারণ তেল হজম করার জন্য বাইল নামক একটি পদার্থের প্রয়োজন হয় যা লিভার হতে তৈরি হয়। জন্ডিসে যেহেতু লিভার নাজুক অবস্থায় থাকে তাই একে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়ার জন্য তেল এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
৫. জন্ডিস হলে অনেকে এ সময় মাছ-মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে যা একেবারেই অনুচিত। এতে শরীরে প্রোটিন এর অভাব ঘটে যা আরো নানা ধরণের জটিলতা বয়ে আনতে পারে।
৬. গবেষনায় ভিটামিন সেবনে জন্ডিস দ্রুত আরোগ্যের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ভিটামিন নেয়াটাও অত্যাবশ্যক না।
৭. সমস্ত শরীরের মেটাবলিসমের অনেকটাই নির্ভর করে লিভারের উপর। এসময় বিশ্রাম নিলে মেটাবলিসমের হার কম থাকে এবং লিভারের উপর চাপ কম পরে।
৮. লিভারের নাজুক অবস্থায় এই জাতীয় ওষুধ ব্রেনের উপর কাজ করে অনেক সময় আপনাকে এমনকি কোমাতেও নিয়ে যেতে পারে।