ডোমজুড়ের পুরনো বাড়ি খুঁড়ে পাওয়া গেল সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকেই উদ্ধার হল কলসি ও থালা।
তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়ায়। পরবর্তীকালে ওই বাড়ি সরকার বাড়ি বলে খ্যাতি পায়। ওই সরকার বাড়িরই এক সদস্য আশুতোষ সরকার বাড়িটি বিক্রি করেন কয়েক বছর আগে। ২০০৭ সালে প্রদীপ হালদার নামে এক ব্যক্তি ওই বাড়িটি কেনেন। বাড়ির বর্তমান মালিক প্রদীপবাবু বাড়িটির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেইমতো সোমবারও কাজ চলছিল। বাড়ির একটা অংশ ভাঙতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির ভিতরে একপাশে সুড়ঙ্গ রয়েছে। সেই সুড়ঙ্গের ভিতর ঢুকতেই উদ্ধার হয় কলসি ও থালা।
স্থানীয় বাসিন্দারা সিঁড়ির পাশে ওই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে একটি মুখবন্ধ কলসি দেখতে পান। পাওয়া যায় একটি থালাও। ধ্বংসস্তূপের তলায় থালাটি থাকায় পুরু মাটির আস্তরণ পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন, থালাটি সোনার থালা। সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে যখন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। আপাতত বন্ধ রাখা হয় পুনর্নির্মাণের কাজ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের দিয়ে ওই পুরোনো বাড়িটি পরিদর্শন করানো হবে।
সুড়ঙ্গের ভিতরে নতুন কোনও ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের সন্ধান মেলায় বিপ্লবী রাসবিহারি বোসকে নিয়ে নতুন ইতিহাসের খোঁজ পাওয়া যেতেও পারে। পুলিশ অবশ্য সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে কলসি উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। বাড়ির পুরনো একটি গুদামঘর ভাঙতেই সুড়ঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেখান থেকে কিছুই মেলেনি। তারা সরেজমিনে দেখে কিছুই পায়নি।