জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। সন্ত্রসীরা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রেখা লাইন অব কন্ট্রোল-এলওসি অতিক্রম করে তান্দধর সীমান্তে ঢুকে পড়লে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তারা নিহত হন।
সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারতের সেনাপ্রধান জে. বিপিন রাওয়াত পাকিস্তানকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হুঁশিয়ারি দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এ ঘটনা ঘটল।
প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে গণমাধ্যম জানায়, শনিবার সকালে তান্দধর সীমান্ত অতিক্রম করে চারজন (এএনআই বলছে ৫ জন) সন্ত্রাসী ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। অপারেশন চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এএনআই জানায়, বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, আমরা সীমান্তে শান্তি চাই। কিন্তু পাকিস্তান অব্যাহতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে; যার কারণে মানুষের জান ও মালের ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। এই যখন অবস্থা, তাহলে আমাদের মোকাবেলা তো করতেই হবে। কিন্তু পাকিস্তান যদি শান্তি চাই, তাহলে আমরা আশা করব-তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। আর এজন্য তাদেরকে অনুপ্রবেশ ঢেকাতে হবে।
গত সপ্তাহে, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী ঘোষণা দেয়, তারা রমজান মাসে জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে সন্তাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অপারেশন চালানো থেকে বিরত থাকবে।
ভারতের গণমাধ্যম বলছে, পুরো রমজান মাসে সীমান্তে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একপাক্ষিক ঘোষণার পর জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে অনুপ্রবেশের জের ধরে এ প্রথম কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আক্রান্ত হলে কিংবা নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজন মনে হলে তাদের অবশ্যই প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রয়েছে।