মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জি-৭ শীর্ষ বৈঠকে জলবায়ু চুক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এতে সমর্থন দেননি। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘কোনও দেশের সরকার ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বা বিশ্ববাসীর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারে। তবে অন্য দেশগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।’
এর আগে ট্রাম্প মানুষের তৈরি এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জি-৭ সম্মেলনের চূড়ান্ত ইশতেহারে যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিত অন্য দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্রতা হ্রাসের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি প্যারিস চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, দু’বছর আগে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। আর সে মোতাবেক, বিশ্বের ১৯৫টি দেশের বাতাসে কার্বন দূষণের মাত্রা কমাবার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় শিল্পোন্নত সাত দেশ। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে এখন ট্রাম্পের প্রশাসন সেখানে থাকবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘খুবই সরল বার্তা: স্থিতিশীলতার ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। এখন আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে, আপনি তাতে উঠবেন কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ব খুবই বাজে অবস্থায় রয়েছে। এখন বিশ্বের জন্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কার্যকর করাটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’
মার্কিনিদের এ জলবায়ু চুক্তির পক্ষে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘সরকার প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসলেও নগর, অঙ্গরাজ্য, কোম্পানি, বাণিজ্যসহ পুরো মার্কিন সমাজ এ চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি।’
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা ছাড়াই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।