জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে ভূমধ্যসাগরীয় ও এশিয়ার দেশগুলোকে। বিশেষ করে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোকে বন্যা ও ঝড়ের কবলে পড়তে হবে। এর ফলে এসব দেশের মানুষের জীবনমানের পতন ঘটবে, ব্যাহত হবে কৃষিকাজ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত ১৩ কোটি মানুষ এ শতাব্দীর শেষে এসে বাস্তুচ্যুত হবে। এ ছাড়া ভারতের দণিাঞ্চলে ২০৩০ সালের শেষ নাগাদ ধান উৎপাদন কমবে ৫ শতাংশ। ২০৫০ ও ২০৮০ সালের শেষ নাগাদ যা পর্যায়ক্রমে আরো সাড়ে ১৪ ও ১৭ শতা ংশ কমে যাবে।
এ ছাড়া বিশ্বের উষ্ণতার দরুণ এশিয়ার দণি-পূর্বাঞ্চল ও ভারতে বন্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বাড়বে। পটসড্যাম ইনস্টিটিউট ফর কাইমেট ইম্প্যাক্ট রিসার্চের (পিআইকে) পরিচালক অধ্যাপক হ্যানস জোয়াকিম বলেন, বিশ্বের ভবিষ্যত এখন এশিয়ার দেশগুলোর হাতে। তার মতে, এশিয়ার দেশগুলো এখন দুই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিসেলসিয়াসের নিচে রাখা সম্ভব হলে এশিয়ার দেশগুলোর গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনও কমানো সম্ভব হবে। বিশেষ করে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিসেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা এখন সবচেয়ে বড় কাজ। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যেও সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ধরে রাখার কৌশলও এশিয়ার দেশগুলোকে নির্ধারণ করতে হবে।