দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সদস্য–দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কর্মকর্তা পর্যায়ের এক অধিবেশন আগামীকাল মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে শীর্ষ আলোচ্যসূচি থাকবে জলবায়ু পরিবর্তন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত দিকের বিরূপ অবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং যক্ষ্মারোগ নির্মূলের প্রচেষ্টা নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লী কার্যালয় থেকে প্রদত্ত হু’র এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কীভাবে স্বাস্থ্য পদ্ধতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতির বিষয় আলোচনা করা হবে। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির সমস্যা সমাধান ও প্রতিরোধের বিষয়ও আলোচনা হবে।
বুধবার মালেতে অনুষ্ঠেয় হু’র পাঁচ দিনব্যাপী ১৭তম দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল কমিটির বৈঠক উপলক্ষে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত হু’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন মূল ইস্যু নিয়ে হু’র সদস্য দেশসমূহের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ছাড়াও অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নেবেন।
মন্ত্রণালয় ও হু সূত্র সোমবার জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক এই অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবস্থান তুলে ধরবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম ও আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম খেত্রাপল সিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে হেপাটাইটিসের হু’র শুভেচ্ছা দূত অমিতাভ বচ্চন বৈঠকে যোগ দিয়ে ভাইরাল হেপাটাইটিসিসের বিরুদ্ধে জরুরি কর্মপন্থা গ্রহণের আহবান জানাবেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এ অঞ্চলের পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য কর্মপরিধি এবং বিশ্বায়নে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপ ও অন্যান্য অগ্রাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের যক্ষ্মা রোগীর শতকরা ৪৫ ভাগ এ অঞ্চলের, যা নির্মূলে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়েও মন্ত্রীরা আলোচনায় অংশ নেবেন।
হু’র ১৭তম আঞ্চলিক এই বৈঠক মালে ঘোষণার মাধ্যমে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।–বাসস