একটানা প্রবল বৃষ্টিপাত। আর যার জেরে জলের তোলায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একাংশ। জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে হোয়াইট হাউজের নীচের একটি দফতরের মেঝে চুইয়ে জল উঠে এসেছ। গত ২৪ ঘন্টায় যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে তাতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিদিনের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড সমস্ত ভেঙে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, শহরের অনেক এলাকায় হঠাত বন্যা দেখা দিয়েছে। হু হু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে জল বাড়তে থাকে। শহরের বিভিন্ন রাস্তাগুলি জলের তোলায় চলে যায়। যার ফলে অনেকেই আটকে পড়ে। ডুবে যায় বহু গাড়ি। বিভিন্ন রাস্তায় গাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি উদ্ধারকারী দলকে নামানো হয়।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আট দশমিক চার সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এটি এক ঘণ্টায় আগের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড পাঁচ দশমিক ছয় সেন্টিমিটারকে ছাড়িয়ে যায়। ১৯৫৮ সালে ভয়ঙ্কর এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর ফের এতগুলি বছর পর এমন বৃষ্টি হল ওয়াশিংটনে। স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ১৮৭১ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সপ্তম বৃষ্টিবহুল জুলাই। তাঁরা জানাচ্ছেন, এক ঘণ্টার মধ্যেই দৈনিক সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে।
ওয়াশিংটনের কাছে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে আরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ১২ দশমিক সাত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় ওয়াশিংটনের মেট্রো স্টেশনগুলোর সিলিং থেকে প্রবল ধারায় বৃষ্টির জল নেমে আসতে থাকে। এবং শহরের প্রধান জাদুঘর ও স্মৃতিসৌধের দিকে যাওয়া রাস্তাগুলিতে ধস নামতে দেখা গিয়েছে। এই সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর স্থানীয় জরুরি বিভাগের কর্মীরা গাড়িতে আটকে পড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। দুপুরের মধ্যে ১৫ জন গাড়ি চালককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয় ওয়াশিংটন ডিসি দমকল ও ইএমএস।
অন্যদিকেম হোয়াইট হাউজের (১৬০০ পেনসিলভ্যানিয়া অ্যাভিনিউ) নিচু তলার একটি দফতরের মেঝেতে চেয়ার ও ডেস্কের তলায় ভেজা কার্পেট ও জল দেখা যায়।