জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অধীন BANFPU-1, UNAMID দারফুর, নারী কন্টিনজেন্ট BANFPU-1, MONUSCO কঙ্গো, BANFPU-1, MINUSMA মালি এবং BANFPU-2, MINUSMA মালি এ চারটি মিশনে ৬ শ পুলিশ সদস্য যোগ দিচ্ছেন। BANFPU-2, MINUSMA মালি ইউনিটটি একটি নতুন Formed Police Unit। আর এ নতুন ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন- দারফুর মোঃ মনিরুজ্জামান, কঙ্গো সৈয়দা জান্নাত আরা, মালি মোঃ জিয়াউল হক এবং মালি আনসার উদ্দিন খান পাঠান।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে শান্তিরক্ষা মিশনগামী পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম জাতিসংঘের ম্যান্ডেট সমুন্নত রেখে দক্ষতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আইজিপি বলেন, বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তিস্থাপন এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিহিত সদস্যদের অনবদ্য অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। তাদের দক্ষতা, নৈতিকতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্ব বিশ্ববাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রশংসা অর্জন করেছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আপনাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
পুলিশ শান্তিরক্ষীদের দেশের ‘এ্যাম্বেসেডর’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, আপনারা বাংলাদেশের এবং পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা বাড়াতে কাজ করবেন। আপনাদের প্রতিটি কাজে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষাকে প্রধান্য দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম ও এফএন্ডডি) মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) মোঃ মহসিন হোসেন এনডিসি, অতিরিক্ত ডিআইজি আনসার উদ্দিন খান পাঠান এবং এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স) শেখ রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মিশনগামী পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দারফুর, হাইতি, কঙ্গো, মালি, দক্ষিণ সুদান ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৪ জন নারী সদস্যসহ ১ হাজার ৬ জন সদস্য পেশাদারিত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। কঙ্গো এবং হাইতি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দুইটি নারী কন্টিনজেন্ট মোতায়েন রয়েছে। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৬ হাজার ৯৭৬ জন সদস্য মিশন সম্পন্ন করেছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন ২০ জন অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্য।