জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত ও সাফল্যমন্ডিত ভূমিকা এবং বিভিন্ন মিশনে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পেশাগত দক্ষতা ও নিবেদিত দায়িত্বপালনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি এ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লইটি।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৩ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের সাথে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিলিটারি এ্যাডভাইজর লইটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন। শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘের প্রাধিকারভুক্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সবসময়ই তার অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে এবং নিবেদিতভাবে কাজ করে যাবে’। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে মিলিটারি এ্যাডভাইজরকে অনুরোধ জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, পরিবর্তনশীল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ তার শান্তিরক্ষীদের সার্বিক দক্ষতা ও দ্রুত মোতায়েনের সামর্থ্য বৃদ্ধির বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। -বাসস