ডিএমপি নিউজঃ আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেন্যুতে প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।
আজ ১৪ আগস্ট (শনিবার) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য একটি অভিশপ্ত মাস।
জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারকেই শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা। পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ধানমন্ডি ৩২ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে চেকপোস্টে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশী করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভেন্যুতে প্রবেশ করানো হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ ভেন্যুতে অবস্থান করবেন ততক্ষণ কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু যাদুঘর ও বনানী কবরস্থান পুরোটাই সিসিটিভি’র আওতায় থাকবে এবং এই দুটি ভেন্যু ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ক্ষেত্রে সকলকে কর্তব্যরত পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, “শোক দিবস উপলক্ষে পুরো মহানগরী জুড়ে অজস্র রাজনৈতিক সংগঠন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে। সব মিলিয়ে ঢাকা মহানগর জুড়ে জাতীয় শোক দিবসের যে কর্মসূচি থাকবে সেটি যাতে যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে উদযাপিত হয়, সেই ব্যাপারে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে মহানগরী জুড়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।”
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধানের বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যারা জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আসবেন তারা অবশ্যই সুশৃঙ্খলভাবে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে আসবেন। মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে ভেন্যুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যত দ্রুত সম্ভব শ্রদ্ধা জানিয়ে ভেন্যু ত্যাগ করতে হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা সাইবার ওয়ার্ল্ডে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তৎপর রয়েছে। কিছু জঙ্গি সংস্থা সাইবার ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে তালেবানদের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য লোকজনদের আহবান জানাচ্ছে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে কিছু লোক পায়ে হেঁটে বা সড়ক পথে আফগানিস্তান যাওয়ার চেষ্টাকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছে। জঙ্গিদের বিভিন্ন কর্মতৎপরতা পর্যবেক্ষনে ডিএমপিসহ বাংলাদেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। সাইবার ওয়ার্ল্ড এ জঙ্গীদের কর্মকান্ডের উপর সাইবার পেট্রোলিং এর মাধ্যমে নজরদারী অব্যাহত রেখেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
এ সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।