ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে জানুয়ারি ২০২৩ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) উদয় কুমার মন্ডল।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই মোঃ জুয়েল মিয়া ও চকবাজার মডেল থানার এসআই মোঃ মাহাবুব হোসেন। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মোঃ মাহাবুব হোসেন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ জহির উদ্দিন আহমেদ এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন খিলগাঁও থানার এসআই জহিরুল ইসলাম। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই মোঃ জুয়েল মিয়া। আর ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই জাকারিয়া মাসুদ ও পল্লবী থানার এএসআই মোঃ ফয়সাল হোসেন।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি মাদকদ্র্রব্য উদ্ধার করেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ সালাহ উদ্দিন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের নিউমার্কেট-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মদন কুমার স্বর। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের ও ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের গুলশান-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ সাদ্দাম হোসেন।
এছাড়াও ডিএমপির ১১ টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।