সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ পালন করেছি আমরা। হার্টকে সুস্থ রাখার নানা উপায় নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর ও তথ্যও জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কারও হার্ট অ্যাটাক হলে প্রতিটা সেকেন্ডই সে সময় গুরুত্বের। যত দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় ততই মঙ্গল— এমন একটা ধারণা আমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা হার্ট অ্যাটাকের আর একটা ধরন নিয়েও কিন্তু সাবধান করছেন আমাদের।
তাদের মতে, হার্ট অ্যাটাক সবসময় যে হঠাৎ হানা দেবে এমন নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এরও শিকার হন অনেকে। এই প্রকারের অ্যাটাকে সব রকম উপসর্গ একটু একটু করে দীর্ঘ সময় ধরে আসে। অনেক সময় এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাই অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
‘দ্য ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট’-এর মতে, বিশ্বে যত জন মানুষ প্রতি বছর হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই এই সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের শিকার। তাদের মতে, সাধারণত, বয়স্ক ও ডায়াবেটিসের রোগীরাই এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।
এমন হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কী
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরার মতে, সাধারণত, পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই এই ধরনের রোগের শিকার হন বেশি। এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে বুকে চাপ, ব্যথা, এগুলো মাঝে মাঝে আসে, আবার সেরেও যায়। আমরা ভেবে বসি অ্যাসিটিডিজনিত সমস্যা। কিন্তু এই মাঝে মাঝে চিনচিনে ব্যাথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
আর কী কী হয়
- চিকিৎসকের মতে, বুকের বাঁ দিকে ব্যাথা তো বটেই, অনেক সময় গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময় বুকের পেশীতেও টান ও চাপ আসে।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। খুব অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক কাজেই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি, এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থায়।
- হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ভাবলে ভুল করছেন। হাত, ঘাড়, দুই কাঁধের মাঝে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে ডান হাতে ব্যথা হলে তা অবহেলা করবেন না।
- তাই এই অস্বস্তিগুলোর মুখোমুখি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতন থাকুন। নিয়ম করে শারীরিক কসরত ও ডায়েটের মধ্যে থেকে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করুন।