জাপানে বিড়ালের কামড়ে এক নারীর মৃত্যু ঘটনা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে এসেছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে এটেলপোকা বাহিত রোগে এবং স্তন্যপায়ি প্রাণি থেকে মানুষের মধ্যে ওই জীবাণু সংক্রমণের ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, গত বছর ওই রোগে আক্রান্ত হন ৫০ বছর বয়সী এক নারী। তিনি তার একটি অসুস্থ বিড়ালকে সুস্থ করার কাজ করছিলেন। সেই বিড়াল কামড়ানোর ১০ দিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। ওই সময় টানা জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তবে এখনো ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ওই নারীর শরীরে পোকার কামড়ের কোনো চিহ্ন না পাওয়ায় চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন, বিড়ালের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখন তারা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে আরেক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ।
ওই নারীর শরীরে আসলে এটেলপোকা বাহিত এক ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছিল, যা বিড়ালের কামড়ের মাধ্যমে তার শরীরে ঢুকেছে।
এরআগে স্তন্যপায়ি প্রাণি থেকে মানব শরীরে রোগটি সংক্রমণের কোন খবর মেলেনি। যদিও বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি, চীন, জাপান ও কোরিয়ায় নতুন জীবাণুবাহিত নতুন এই রোগ দেখা যাচ্ছে।
জাপানের চিকিৎসকরা বলছেন, এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০ শতাংশ। তবে বয়স্কদের মধ্যে ওই ঝুঁকি বেশি। ২০১৩ সালে জাপানে এসএফটিএস নামে নতুন এই রোগের কথা শোনা যায়।
এই ঘটনার পর জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পোষা প্রাণির যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে।