জাপানে ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টেকটনিক প্লেটের মুভমেন্টের কারণে সমুদ্রের নিচে ৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প আঘাত হনতে পারে। এর জেরে ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে সুনামিতে। মঙ্গলবার দেশটির একটি সরকারি প্যানেল জানিয়েছে, উত্তর জাপানের হক্কাইডো এবং উত্তর-পূর্বে ইওতেতে আঘাত হানতে পারে এই সুনামি।
বিশেষজ্ঞদের দলটি জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জাপান ট্র্যাঞ্চ এবং কুড়িল ট্র্যাঞ্চকে কেন্দ্র করে একটি মেগা-ভূমিকম্প ‘আসন্ন’। তারা বর্তামানের টেকটনিক প্লেটের অবস্থা বিবেচনা করে এই আশঙ্কা করছেন। কারণ ১৮ তারিখের ভূমিকম্পই আগাম ইঙ্গিত। তবে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের প্যানেল বলেছে, এই ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা গণনা করা কঠিন। এই অঞ্চলে প্রতি তিনশ থেকে চারশ বছরে একবার এই ধরনের সুনামি আঘাত হানে। ১৭ শতকে একবার হয়েছিল।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্যানেলের প্রধান সিজমোলজিস্ট কেনজি সাটকে জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে একটি বিশাল ভূমিকম্প এবং সুনামি অবশ্যই ঘটবে। কারণ গত ছয় হাজার বছরে এই ধরনের ভূমিকম্প কয়েকবার ঘটেছে। তবে প্রায়ই ঘটেছে এমন নয়।
১৮ এপ্রিল সকালে জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৬২০ মাইল দক্ষিণে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ছয় রিখটার স্কেলের কম। তবে ওগাসাওয়ারা দ্বীমমালার কাছে হওয়া সেই ভূমিকম্পের পরেই জাপানের আবহাওয়া দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে। সংস্থাটি জানায়, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে এক বিশাল সুনামিতে ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন জাপানে। এদিকে সেদেশে এখনো পর্যন্ত ১১ হাজার ৫১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের। করোনার জেরে এ বছরের অলিম্পিক গেমস স্থগিত হয়ে আগামী বছর হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সুনামি হলে আরো বিপর্যয় নেমে আসবে। সূত্র: জাপানটাইমস।