ডিএমপি নিউজ: বহু প্রাচীন কাল থেকে কেশর বা জাফরান মশলা, ঔষধি রূপে ও নানান প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে জাফরানের জুড়ি মেলা ভার। জাফরানকে ‘গোল্ডেন স্পাইস’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি খাবারে কেবল একটি অনন্য সুগন্ধ এবং স্বাদই যোগ করে না, পাশাপাশি হজমের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলি থেকে হওয়া ক্ষতির প্রতি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ গঠন করে। জাফরানযুক্ত খাবারগুলি হলদে-কমলা রঙ ধারণ করে, এটি উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড পিগমেন্ট ক্রোসটিনের ফলাফল।
আসুন জেনে নেই জাফরানের ঔষুধি গুণগুলো কি কি-
গর্ভাবস্থায় জাফরান: গর্ভাবস্থায় শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের এক বিশাল পরিমাণে রূপান্তর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাফরান গর্ভাবস্থায় দুর্দান্ত, কারণ এটি ইতিবাচক আবেগকে উৎসাহ দেয় এবং কিছু ঔষধি গুণাবলী ধারণ করে যা গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলির সাথে মোকাবেলায় সহায়তা করে। জাফরান উদ্বেগ, স্ট্রেস ও পেট ব্যথার অনুভূতিগুলির মোকাবেলায় সহায়তা করে এবং প্রায়শই গর্ভবতী মহিলাদেরকে এর বহু গুণাবলীর জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে বেশিরভাগ জিনিসের মতোই জাফরানও যদি মাঝারিভাবে না খাওয়া হয় তবে সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জাফরানের সুবিধা, ব্যবহার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি জানতে পড়ুন।
ত্বক ভালো রাখে: বিভিন্ন রান্নায় এটি ব্যবহার করার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার, সাবান, ফেসওয়াশ বা বডিওয়াশেও ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি ত্বককে ভালো রাখে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকায় এটি ত্বককে পরিষ্কার করে, উজ্জ্বল করে তোলে ও প্রাকৃতিক ভাবে ঝলমলে রাখে। এছাড়াও কেশর ব্রন দূর করতেও সাহায্য করে। ফলে যাদের ব্রন থাকে, তাদের ক্ষেত্রে কেশরযুক্ত ফেস ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
মেজাজ ঠিক রাখে: কেশরে ফাইটোকেমিক্যাল ও ফেনোলিক রয়েছে। যা শরীরের সেরোটোনিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও মেজাজ ঠিক করতে সাহায্য করে। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়, কেশর ছাড়াও এই ফুলের পাপড়িও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে। মেজাজ খারাপ থাকলে অনেকেই কেশরমিশ্রিত দুধ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে যে, জাফরান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জাপানে পারকিনসন এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন অসুখে জাফরান ব্যবহার করা হয়।
শারীরিক দিক থেকে অনুন্নত মেয়েদের জন্য জাফরান খুবই উপকারী। প্রত্যেকদিন এক চিমটে জাফরান দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হরমোন উদ্দীপিত হয়। নিয়মিত দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে খেলে তার ফল আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। প্রত্যেকদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধে এক চিমটে জাফরান মিশিয়ে খেলে আপনার ভাইটালিটি বাড়বে। ঠান্ডা লাগা, জ্বরের হাত থেকে বাঁচায় জাফরান।