ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) ও নকল সীল প্রস্তুতকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
৪ অক্টোবর’১৭ ফকিরাপুলস্থ কোমর গলির হাসেম আলীর বাড়ি হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ আব্দুল বারিক, মোঃ মোহাম্মদ আলী, মোঃ সাব্বির হোসেন, মোঃ শহিদুল হক নিজাম ও মোঃ মোরশেদ ভূঁইয়া।
এ সময় তাদের হেফাজত হতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জের সীলসহ মোট নকল সীল ৫৭৭ টি, জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ১৪৫০ টি, কম্পিউটার ২টি এবং প্রিন্টার ১টি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের এ অপরাধের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতরা উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জাল সার্টিফিকেট বিভিন্ন মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্সিতে সরবরাহ করার জন্য তৈরী ও মজুদ করেছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংকালে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল বাতেন পিপিএম উপস্থিত সাংবাদিকদের এমনটি জানালেন।
ব্রিফিং এ তিনি বলেন- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রাষ্ট্রের একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন সনদপত্র। এর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যাকগ্রাউন্ড কি তা যাচাই করা যায়। বিদেশ যাওয়ার পর ঐদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে সে ব্যক্তির চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারে। কিছু অসাধু ট্রাভেল এজেন্সী বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে চুক্তির মাধ্যমে জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট করে থাকে। এজেন্সীগুলো প্রতিটি জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নকল সীল তৈরি করে এই সার্টিফিকেট বানাতো।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে কোন হয়রানি হতে হয় না। যেকেউ নির্ধারিত পদ্ধতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পারে। এই সার্টিফিকেট পেতে হলে প্রথমে আপনাকে সরকারী খাতে ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকার রশিদসহ পুলিশ সুপারের অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট প্রসেসের মাধ্যমে গ্রাহককে দেয়া হয়ে থাকে। এখানে ঝামেলার কোন বিষয় নেই। তিনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সঠিক উপায়ে পুলিশের মাধ্যমে সংগ্রহ করার জন্য সকলকে আহবান জানান।