ডিএমপি নিউজ: কালোজিরার বোটানিক্যাল নাম হলো ‘নাইজিলা সাটিভা’ (Nigella sativa)। ক্ষীর, পায়েস, পান, পিঠাপুলিসহ বেশকিছু তেলেভাজা খাবারে ভিন্ন স্বাদ আনতে সচরাচর কালোজিরা ব্যবহার হয়। মসলা হিসেবে কালোজিরার চাহিদা অনেক। কালোজিরার বীজ থেকে পাওয়া যায় তেল, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে আছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস।
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এজন্য একে সকল রোগের মহঔষধও বলা হয়ে থাকে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”।
কালোজিরের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম ,ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। সুস্থ থাকতে তাই প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া উচিৎ।
কালোজিরা গাছের বীজে প্রায় ১০০টি রাসায়নিক যৌগ আছে। এতে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি বিদ্যমান। এতে আরও আছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডসহ নানা উপাদান।
শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনি প্রতিদিন কালোজিরা বা এর তেল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের শিশুদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে।