করোনাভাইরাসের প্রভাবে ধুঁকছে বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের হার। এই ভাইরাসের তাণ্ডব থেকে বাদ পড়ছে না কেউই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকেই আক্রান্ত করছে এই ভাইরাস। আবার প্রাণও যাচ্ছে হাজারো মানুষের। করোনাভাইরাস কিভাবে শিশুদের উপর প্রভাব ফেলে, কি ধরণের লক্ষণ প্রকাশ পায় তার সমাধানের জন্য গবেষণা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। অসুস্থ বাচ্চার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য শুরু হয়েছে আলোচনা। স্কুলগুলো আবারো শুরু হওয়ার আগে একটি ফলাফলে আসতে চান তারা।
নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে শনিবারে ৩ শিশু মারা গেছে এবং ৭৩ জন সন্দেহভাজন চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা ২১ বছর বা নিচের বয়সের শিশুদের জন্য কয়েকটি লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন।
লক্ষণগুলো হচ্ছে, অবিরাম জ্বর এবং প্রদাহ, অস্বাভাবিক হার্টবিট, শরীরে র্যাশ, ডায়রিয়া, দ্রুত শ্বাস এবং দূর্বল পালস ও মাথা ঘোরা বা চেতনা হ্রাস।
চিকিৎসকরা বলছেন শিশুরা পেটের ব্যাথার যন্ত্রনায় চিৎকার করে। কারো কারো ধমনী ফুলে যায় যা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বোস্টন চিলড্রেনস হাসপাতালের ন্যান্সি ফ্লাইজার লিখেছেন, কিছু আক্রান্ত শিশু করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডিগুলির জন্য ইতিবাচক আছে। একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, নিউইয়র্ক সিটিতে কিছু বাচ্চাদের কার্ডিয়াক সহায়তা, অর্ধেকেরও বেশি মেকানিকাল ভেন্টিলেটর এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় রক্তচাপ সমর্থন দরকার ছিল। লস অ্যাঞ্জেলেস চিলড্রেন হসপিটাল শুক্রবার পর্যন্ত তিনটি শিশুর প্রদাহজনিত লক্ষণ সনাক্ত করেছে। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন লক্ষণ সংক্রামক নয়। ইউসি সান দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের শিশু বিশেষজ্ঞের অধ্যাপক জেন বার্নস ওয়াশপস্টকে জানিয়েছেন, খুব কম সংখ্যক শিশু রয়েছে যাদের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়।
চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল বয়সের বাচ্চাদের করোন ভাইরাস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তারা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় এই রোগ থেকে মৃদু জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যায় শিশুরা ভাইরাস সংক্রমণ করতে পারে। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম থাকলেও তাদের প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তা তিনগুণ। এরই মধ্যে বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের জন্য ২১ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে।