জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভে ফুঁসছে প্যারিস। রাস্তায় নেমেছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। চলছে দফায় দফায় পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার রাতে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আমলার সঙ্গে জরুরীকালীন বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বৈঠকের আগে ইঙ্গিত ছিল দেশে জরুরী অবস্থা জারি করতে পারে ম্যাক্রোঁ সরকার। যদিও জানা যাচ্ছে, এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি এ দিনের বৈঠকে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়ে আরও অপেক্ষা করতে চাইছেন ম্যাক্রোঁ।
উল্লেখ্য, গত দু’সপ্তাহ ধরে প্যারিস-সহ একাধিক শহরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন অসংখ্য মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ‘ইয়োলো ভেস্ট’ নামে এই আন্দোলন সংগঠিত হলেও পরবর্তীকালে বৃহত্তর আকার নেয় বিক্ষোভের। কুড়ুল, কাঠারি নিয়ে রাস্তায় নামে জনতা। পোড়ানো হয় সরকারি গাড়ি।
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব না থাকায় প্রথমে পুলিশ সেভাবে আমল দেয়নি বলে জানা যায়। পরে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে আগুনে ঘি পড়ে। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভক্স জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরী অবস্থা জারি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একশোর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জন পুলিশ কর্মী রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০০ বিক্ষোভকারীকে। আর্জেন্টিনায় জি২০ সম্মেলন সেরে শনিবার ম্যাক্রোঁ জানান, হিংসা কখনও বরদাস্ত করা হবে না। তবে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ।