জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্সের নাগরিকদের মধ্যে। এতে এখন পর্যন্ত একজন মারা গেছে ও অন্তত ৪০৯ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সরকার ৩০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এর মধ্যে ১৫৭ জন বিক্ষোভকারীকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবারের ওই বিক্ষোভে দুই লাখ ৮৮ হাজার নাগরিক অংশ নেয়।
সড়ক অবরোধ চলাকালে শোনতেল ম্যাজে নামে ৬৩ বছর এক বিক্ষোভকারী একটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তোফ কাস্তানেখ, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।ওই গাড়িচালক একজন নারী এবং তিনি তার কন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এ সময় ৫০ জনের মতো বিক্ষোভকারী তার গাড়ি ঘিরে ধরে । আতঙ্কিত হয়ে তিনি জোরে গাড়ি চালিয়ে নেয়ার সময় ওই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই নারী গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন বলে ভাষ্য পুলিশের।
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জ্বালানি কর বৃদ্ধি করেছেন। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ নাগরিকরা তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা সড়ক পথগুলো অবরোধ করে ও তেলের ডিপোতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ১২ মাসে ফ্রান্সে ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেলে ৭ দশমিক ৬ সেন্ট এবং পেট্রোলে ৩ দশমিক ৯ সেন্ট করে দাম বাড়ানো হয়েছে । ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ দশমিক ৫ সেন্ট এবং পেট্রোলে ২ দশমিক ৯ সেন্ট করে দাম বাড়ানো হবে। দেশটির বেশিরভাগ গাড়িতে ডিজেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার সেখানে একটি প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে তেলের ওপর হাইড্রোকার্বন ট্যাক্স বসিয়েছেন। এ কারণেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটির নাগরিকরা।