ডিএমপি নিউজ রিপোর্টঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখাবে। আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার না করলে শিল্পে ব্যবহার বাড়ানো যাবে। ফলে কর্মসংস্থানসহ বহুমূখি সুবিধা অর্জন করা সম্ভব হবে। সাশ্রয়ি মূল্যে নির্ভরযোগ্য নিরাপদ জ্বালানি হতে পারে এই এলপিজি। প্রয়োজন শুধু যথার্থ বিপণন ব্যবস্থা ও প্রাইসিং নীতিমালা।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি’১৭) ঢাকায় ‘৪র্থ এশিয়া এলপিজি সামিট’ এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্রীন ও ক্লীন এনার্জী হিসেবে এলপিজি সমাদৃত। ৭০ ভাগ আবাসিক জ্বালানির চাহিদা এই এলপিজি থেকে পূরণ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। অটোগ্যাস হিসেবে এবং বাজার জরিপ করতে সংশ্লিষ্টদের তিনি অনুরোধ জনান। ‘ওয়ার্ড এলপিজি এসোসিয়েশন’-এর পরিচালক ডেভিট টেইলার বৈশ্বিকভাবে এলপিজির ব্যবহার, উৎপাদন, পরিবহণ ও বাজার মূল্যায়ন তাঁর মূল প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এলপিজি‘র জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘এলপিজি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর প্রেসিডেন্ট সালমান এফ রহমান বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে এলপিজি‘র ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলাদেশে এলপিজি‘র ভবিষ্যৎ বাজার খবুই সম্ভাবনাময়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং কনভারসন ওয়ার্কস ওনার্স এসোসিয়েশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রিয়াদ আলী ও ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজীম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন ।আরবি/০১