আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জয়পুরহাট জেলায় খামারিদের কাছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫টি পশু মজুদ রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ৩৬ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও খামারি সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট বড় মিলে ১৫ হাজার ১৯৩টি পশুর খামার রয়েছে। এতে বিক্রয় উপযোগী মজুদ পশুর সংখ্যা হচ্ছে ষাঁড় ১৩ হাজার ৮৩৩টি, বলদ ১০ হাজার ৭৯৬টি, গাভী ১২ হাজার ৫৭৭টি, ছাগল ৬৭ হাজার ৯০৮টি ও ভেড়া রয়েছে ১১ হাজার ৫১১টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবার কোরবানির জন্য ৮০ হাজার পশু চাহিদা নির্ধারণ করেছে। মজুদ পশুর সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫ টি। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৩৬ হাজার ৬২৫টি। যা দেশেরে অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুস্তম আলী।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, পাঁচ উপজেলা মিলে জেলায় ২১টি পশুর হাট রয়েছে। এরমধ্যে বড় হাট হচ্ছে জয়পুরহাটের নতুনহাট ও পাঁচবিবি গো-হাটি।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসে মঙ্গলবার পাঁচবিবিতে আর নতুনহাটে শনিবার। পশুর হাট গুলোতে এখনও তেমন কেনা বেচা শুরু না হলেও ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের পাইকারী ক্রেতারা কিছু কিছু কিনছেন বলে জানা গেছে। গরু ঢাকা পাঠাতে খরচ পড়ছে প্রতি গরু ১ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া।
বর্তমান বাজারে ১শ’ কেজি মাংস হবে এমন গরু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। সদর উপজেলার পারুলিয়া মনি ডেইরী খামারে এবারের কোরবানির জন্য দেশীয় জাতের ৬৫ টি মজুদ রয়েছে।
দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে খাওয়ানো হয় খুদের ভাত, ভূষি, খড়। গরু বিক্রি করে খরচ বাদে এবার ৪/৫ লাখ টাকা আয় করবেন এমন আশা করছেন খামারি মোজাহেদুল ইসলাম রানা। এ ছাড়াও সবুজনগর এলাকার নুরল ইসলামের খামারে ৪০ টি, হালট্টি গ্রামের আব্দুল কাদেরের খামারে ২৫ টি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা যায়।
জয়পুরহাট জেলায় পশু সম্পদের উন্নয়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে প্রাণিসম্পদ খাতে ৪ শ ৬৯ খামারির মধ্যে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করেছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।-বাসস