টনটনে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাস্ট উইন ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে উইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩২১ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ৬ষ্ঠ পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলা শাই হোপ ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আরও দুই ব্যাটসম্যান। মাশরাফি বিন মুর্তজার কিপ্টে বোলিংয়ের পাশাপাশি ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
টনটনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি। ওপেনার ক্রিস গেইল দলীয় ৬ রানে সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ আউট হন। এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন অপর ওপেনার এভিন লুইস এবং শাই হোপ। ৫৯ বলে ফিফটি করেন এভিন লুইস। দুজনের জুটিতে তখন ১১৬ রান এসে গেছে। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। তার ঘূর্ণিতে বদলি ফিল্ডার সাব্বিরের তালুবন্দি হন ৬৭ বলে ৭০ করা এভিন লুইস।
এরপর ৭৫ বলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ৬ষ্ঠ ফিফটি করেন শাই হোপ। উইকেটে এসে রানের জন্য ছটফট করছিলেন নিকোলাস পুরান (২৫)। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। লং অন থেকে দারুন ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। বিধ্বংসী শিমরন হেটমায়ার উইকেটে এসেই তাণ্ডব শুরু করেন। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ২৫ বলে। শেষ পর্যন্ত এই মারকাটারি ব্যাটসম্যানকে তামিম ইকবালের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। ক্রিস গেইলের মতো আরেক ভয়ংকর হার্ডহিটার আন্দ্রে রাসেলও ‘ডাক’ মারেন আজ। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই দানবীয় ব্যাটসম্যান।
এরপর উইকেটে এসে ঝড় তোলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ১৫ বলে ৩৩ রান করে বিপজ্জনক এই অল-রাউন্ডার সাইফউদ্দিনের শিকার হন। শাই হোপকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মুস্তাফিজ। ১২১ বলে ৯৬ রান করা হোপকে লিটন দাসের তালুবন্দি করে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন কাটার মাস্টার। শেষদিকে ব্র্যাভোর ১৫ বলে ১৬ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে উইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২১ রান। শেষ বলে ব্র্যাভোকে বোল্ড করে দেন সাইফ। ৩টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ আর সাইফউদ্দিন।