ওভালে আগে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানের সেঞ্চুরি আর আজহার আলী ও মোহাম্মদ হাফিজের ফিফটিতে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলেছে সরফরাজ আহমেদের দল। ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এটিই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৫০ ওভারে পাকিস্তান ৩৩৮/৪।
ফখর জামানের প্রথম সেঞ্চুরি : চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হয় ফখর জামানের। সেই ম্যাচে করেন ৩১ রান। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০। আর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৫৭ রান। আজ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৯২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
প্রথম উইকেটের পতন : দলীয় ১২৮ রানের মাথায় ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন আজহার আলী। যাওয়ার আগে ফখর জামানের সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়ে যান। যেখানে তার অবদান ছিল ৫৯ রান। যা তিনি ৭১ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় করেন।
টস: ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরিবর্তন: সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মোহাম্মদ আমির দলে ফিরেছেন। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া রুম্মান রইস একাদশের বাইরে।
ভারত একাদশ: শেখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিং, মাহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, রবীন্দ্রর জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জসপ্রিত বুমরাহ।
পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলী, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব্ মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলী, জুনায়েদ খান।
ভারতের তৃতীয় না পাকিস্তানের প্রথম: ভারত দুবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছে। ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ভারত আবার চ্যাম্পিয়ন হয় ২০১৩ সালে। অন্যদিকে পাকিস্তান একবারও মিনি বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি।
১২৮: দুই দল এখন পর্যন্ত ১২৮ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের ৫২ ম্যাচের বিপরীতে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে ৭২টি।
১৩: আইসিসি ইভেন্টে দুদলের জয় পরাজয়ের অনুপাত ১৩:২। ভারতের ১৩ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় মাত্র ২ ম্যাচে।