বেকারত্ব, দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারি চাকরির দাবিতে উত্তাল ইরাক। টানা তিনদিন ধরে চলা এ বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) একজন পুলিশসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন।
বিক্ষোভ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানী বাগদাদের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও দেশটির বহু শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার ইরাকের নাসিরিয়া শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পুলিশের একজন সদস্য ও ৭ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। একইদিনে দেশটির আরেক শহর আমারাতে বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
এর আগে গতকাল রাজধানী বাগদাদে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। বেকারত্ব, দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারি চাকরির দাবিতে বুধবার রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীতে মিছিল করে তারা তাহরির স্কয়ারে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান তোলেন। অনেকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের পদত্যাগের দাবিও তোলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির নির্দেশে বাগদাদ জুড়ে কারফিউ জারি করে ইরাক সরকার। সরকার পতনের দাবিতে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ হয় রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের কয়েকটি শহরে। ওই দিন নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত ও দুইশ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন।