নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘশ্বাসটা আরও লম্বা হলো। তাসমান পাড়ের দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসল অজিরা। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের এবারও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে হতাশা নিয়ে। কেইন উইলিয়ামসনের গোমড়া মুখের হাসিটা কোটি ক্রিকেট সমর্থকের মনে দাগ কেটে দিয়েছে এতক্ষণে। তবে অ্যারণ ফিঞ্চের চওড়া হাসি বলে দিচ্ছিল শুধু ওয়ানডে না, টি-টোয়েন্টিতেও সেরা হতে পারে তারা।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম আসরটির বৈশ্বিক শিরোপা জিতলো অজিরা।
এদিন, টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। শুরু থেকেই কিউই ব্যাটারদের চেপে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তার ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।
জবাবে মিচেল মার্শের ৭৭ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৩ রানের ওপর ভর করে ৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে এই দুই জনের জুটি থেকে এসেছে ৯৫ রান। মূলত এই জুটিই নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। আউট হওয়ার আগে ৩ ছয় ও ৪ চারের সাহায্যে ৩৮ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান ওয়ার্নার। আর ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিচেল মার্শ। ৫০ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ৪টি ছয় ও ৬টি চারের মার। এছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এছাড়া মার্টিন গাপটিল ২৮, গ্লেন ফিলিপস ১৮ ও জেমি নিশাম ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। অজি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জস হ্যাজলউড। নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন তিনি। অন্য উইকেটটি নেন অ্যাডাম জাম্পা। তথ্য সূত্র: অনলাইন।