ডিএমপি নিউজঃ মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। আবুধাবিতে রোববার ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে আইরিশরা থেমে যায় ৯ উইকেটে ১১৩ রান করে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ২৩ রানে প্রথম ও ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এরপর দলের হাল ধরেন ফারাজানা হক ও রুমানা আহমেদ। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজন ৪৯ রান তোলেন।
দলীয় ৯৬ রানের মাথায় রুমানা ২০ বলে ২ চারে করে ২১ আউট হন। পরের ওভারে দলীয় ১০১ রানে মাথায় ফেরেন ফারজানা। তিনি ৫৫ বল খেলে ৭ চারে করেন সর্বোচ্চ ৬১ রান। ৯৬ থেকে ১২০ রানে যেতে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। ফারজানা ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল রুমানা আহমেদ (২১)। সোবহানা মোস্তারি, রিতু মণি, সালমা খাতুন, লতা মন্ডলকে সাজঘরের পথ ধরতে হয় এক অঙ্কের ধরে আটকে থেকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১২০ রান।
আইরিশদের হয়ে ডেলানি নেন ৩ উইকেট, এছাড়া আরলেনি কেলি এবং চারা মুরাই নেন দুই উইকেট করে।
১২১ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। প অর্ডারের কোন ব্যাটারই পাননি দুই অঙ্কের রানের দেখা। এরপর ইমিয়ার রিচার্ডসন এবং ম্যারি ওয়ালডল দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
শেষদিকে আরলিনে কেলি এবং চারা মুরারি জুটি গড়ে ম্যাচকে জমিয়ে তোলেন। তবে শেষ ওভারে নাহিদার বোলিং দৃঢ়তায় দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে পারেননি আইরিশ এই দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৭ রানের হার নিয়ে রানারআপ হয়েই মাঠ ছাড়ে আইরিশরা। বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা আহমেদ ৩ উইকেট নেন, এছাড়া সানজিদা আক্তার মেঘলা, নাহিদা আক্তার, এবং সোহালি আক্তার নেন ২ টি করে উইকেট।
বাছাইপর্বের ফাইনালে উঠেই আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলার মেয়েরা। এছাড়া ২০১৪ সালে স্বাগতিক হিসেবে ও ২০১৫ সালে বাছাইপর্বে রানারআপ হয়ে খেলেছিল বিশ্বকাপে।